ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বের শীর্ষ দশটি জনবহুল দেশের একটি হওয়ার পরও বাংলাদেশের ১৬৫ মিলিয়ন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক চু ডংইউ।
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এফএও মহাপরিচালক ২৮ মে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি, কারণ তাদের সমাধানগুলো সাশ্রয়ী এবং বাস্তবায়ন সহজ।
রাষ্ট্রদূত, আহসান এফএও (ফাও) এর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার উচ্চ ধারণায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত, এফএও (ফাও) কে, আরও দক্ষ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহাপরিচালকের গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস প্রদান করেন।
৪০ বছরের অধিক সময়ে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণে, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এফএও-এর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত, পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষিখাতের রূপান্তরিত পরিকল্পনায় এফএও-এর সক্রিয় সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেসিসট্যান্স বিষয়ক একক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কো-চেয়ার হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করায় মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান এবং এক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধকল্পে আঞ্চলিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ গত প্রায় চার বছর ধরে ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের আয় এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এফএও (ফাও) এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্যে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এফএও আঞ্চলিক সম্মেলনে (৮-১১ মার্চ ২০২২) অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে মহাপরিচালককে আমন্ত্রন জানান এবং তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন।
পরে বাংলাদেশ এবং এফএও আগামী দিনগুলোতে পৃথিবীব্যাপী ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মোকাবিলার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলোচনায়।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠানটি জুম প্লাটফর্মে হয়। এ সময় দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সেলর ও রোমভিত্তিক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মানস মিত্র, কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমানসহ এফএও থেকে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।